আপনি যদি একজন স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে থাকেন এবং আপনার পরিবারের প্রতি যত্নশীল হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই কন্টেনটি আপনার পড়া উচিৎ তানা-হলে আপনি অনেক কিছু মিস করে যাবেন, যা হয়তো আপনার অজানায় থেকে যাবে।
আপনি জানেন কি? আপনার পিঠা-পুলিতে যে খেজুরের গুড় ব্যাবহার করা হয় এটা কোন পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়, আপনি জানলে হয়তো খেজুরের গুড় খাওয়ায় বন্ধ করে দিবেন।
- আপনেরা লক্ষ করে থাকবেন শিত শুরু হওয়ার আগেই বাজারে খেজুরের গুড় পাওয়া যায় এটা অরজিনাল গুড় নয়, খেজুরের গাছ শিতে রস দেয়, শিত ছাড়া খেজুর গাছ কখনই রস দেইনা যেখানে রসই তৈরি হয়না সেখানে গুড় আসে কি করে কখনো ভেবে দেখেছেন? এটা এক বছর আগের গুড় এই গুড়কে ঘোষা মাজা করে নতুনভাবে তৈরি করা হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়।
- ঢাকার বিভিন্ন কারখানাতে রাতের অন্ধকারে, আটা, গরুর চর্বি এই চর্বি দেওয়া হয় গুড় জমাট বাধার জন্য , গরু খাওয়ানো চিটা গুড়, কাপড়ে দেওয়া বিষাক্ত রং দিয়ে গুড় তৈরি করা হয়, এই রং ক্রেতাকে খুব সহজেই আকৃষ্ট করে এই গুড়ে রসের ছিটা ফোটাও থাকেনা, এই গুড় আপনার কিডনি, লিভার ড্যামেজ এবং শরিরের অঙ্গ প্রতঙ্গ নষ্ট করে দিতে পারে।
- যখন হালকা শিত অনুভুত হয় তখন খেজুর গাছে হালকা পরিমানে রস তৈরি হয় এই তাপমাত্রার রসে কখোনয় অরজিনাল গুড় হয়না, এই রসের সাথে চিনি এবং অনান্য উপাদান মিশিয়ে গুড় তৈরি করে বাজারে বিক্রি করা হয় যা সাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়।
- শোনা যায় ভারত থেকে LC তে খুবই নিম্নমানের গুড় আসে এই গুড় ভারতে রিজেক্ট চিনি দিয়ে তৈরি করা হয় এই গুড়কে বাংলাদেশে 1000 পাওয়ার রং দিয়ে ঝকঝকে করে বাজারে ছাড়া হয় এই গুড় আড়তে 106 টাকা কেজি পাইকারি, খোলা বাজারে বিক্রি হয় 140-150 টাকা।
বাজারে খেজুর গুড়ের দাম কম থাকার কয়েকটি কারন নিম্নে উল্লেখ করা হলো
1, আর্টিফেসিয়াল খেজুর গুড় এই গুড় আটা, গরুর চর্বি, চিটা গুড়, কাপড়ে দেওয়া বিষাক্ত রং দিয়ে তৈরি করা এই গুড়ে রসের ছিটা ফোটাও থাকেনা। এই নকল গুড় তৈরির কারখানাগুলো সাভারের নামো বাজারে লক্ষ করা যায় । সূত্র নিউজ 24
2, শীত শুরু হওয়ার পূর্বেই যে গুড় বাজারে আসে এইগুলো গতবছরের গুড় নতুনভাবে ঘোষা -মাজা করে বাজারে আনা হয়।
3, হালকা শীতে রসের সাথে চিনি মিশানো গুড়, রসে চিনি দিলে ওজন বাড়ে , গুড়ের পরিমান বেশি হয়।
4, ভারত থেকে আসা LC করা গুড়
5, দিনের ঘোলা রস দিয়ে গুড় তৈরি ।-
ভ্যাজাল গুড় সনাক্তের পদ্ধতি:
- গুড়ে কোন সুগন্ধ থাকবেনা
- হলদে টাইপের গুড়
- গুড় কঠিন শক্ত
- খুব বেশি লাল উজ্জ্বল
- গুড় ভাঙ্গলে ভিতরে রসালো ভাব থাকবেনা
Orginal খেজুর গুড় চিনার উপায়:
- গুড়ে রসের মন-মাতানো সুঘ্রাণ থাকবে
- বাজারের গুড়ের চেয়ে নরম হবে
- খুব চক-চকে লাল কালার হবেনা
Orginal খেজুরের গুড়ের স্বাস্থ্য উপকারিতা:
- শরিরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- এই শিতে শরিরকে গরম রাখতে সাহায্য করে
- ক্লান্তি দূর করে প্ররিশ্রম করার ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরিরে এনার্জি প্রবেশ করে
- Body Temperature বাড়িয়ে ঠান্ডা প্রতিরোধ করে ফলে শরিরে ঠান্ডা লাগতে দেয়না।
- আয়রন প্রচুর প্ররিমানে থাকায় রক্ত স্বল্পতা দূর করে।
- সর্দি কাশি এবং ঠান্ডা জনিত সমস্যা থেকে মুক্তি মিলে
- হিমোগ্লোমিনের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
- হজম হতে সাহায্য করে।
Orginal খাঁটি গুড় পাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায়:
খুব বিশ্বস্ত কারও কাছ থেকে নেওয়া, সবচেয়ে ভালো হয় যদি আশপাশে খেজুর বাগান থাকে তাদের কাছ থেকে বানিয়ে নেওয়া, যদি এটি সম্ভব না হয় তাহলে আমাদের কাছে থেকে নিয়ে দেখতে পারেন, আমরা শিতের আগে কখনোই গুড় তৈরি করিনা কারণ অল্প শিতে বা শিতের আগে গুড় কখনোই ভালো হয়না যত শিত হবে ততো গাছে রস বেশি হবে এবং গুড়ের কোয়ালিটি ভালো হবে। তবে রসের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে, শিতের সময় গাছ দুই বেলা রস দেয় একটা দিনে এবং একটি রাত্রে, দিনের তাপমাত্রা গমর থাকে ফলে দিনের রসের গুড় ভালো হয়না জমাটও বাধতে চাইনা ফলে চিনি দিয়ে জমাট বাধাতে হয়। আমরা শুধুমাত্র রাতের রস দিয়ে গুড় তৈরি করি রাতে প্রচন্ড ঠান্ডা থাকে এবং এই রস ফজর আজানের পর-পরই নামাতে হয় বেশি দেরি হলে গুড়ের কোয়ালিটি ভালো হয়না। আমাদের গুড় শুধুমাত্র রস দিযৈ তৈরি করা হয়।
NB: Orginal এক কেজি খেজুর গুড় তৈরি করতে প্রায় সাত কেজি রসের প্রয়োজন হয়, তবে রস ভেদে কম বেশি হতে পারে।
Reviews
There are no reviews yet.